সাম্বার হরিণের শিং পাচারকারী গ্যাংয়ের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করলো বর্ধমান বনবিভাগ

Souris  Dey

Souris Dey

সৌরীশ দে, বর্ধমান: হরিণের শিং পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া পাঁচ জন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করল ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো ( ইস্টার্ন রিজিয়ন) ও বর্ধমান বন বিভাগের আধিকারিকরা। পাচারকারীদের কাছ থেকে ২০টি পূর্ণ বয়স্ক সাম্বার প্রজাতির হরিণের শিং উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি মোটর সাইকেল। বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুর থানার কুলীনগ্রাম এলাকায় ক্রেতা সেজে বন বিভাগের আধিকারিক ও কর্মীরা অভিযান চালায়।

বিজ্ঞাপন

সেখানেই তিনজন জৌগ্রামের বাসিন্দা ও দুজন হিন্দিভাষী আসানসোল এর বাসিন্দা কে আটক করে বনবিভাগ। ধৃত ব্যক্তিরা হল সরোদ কুমার সিনহা, বাড়ি বর্নপুর রোড, আসানসোল, নয়ন কান্তি সালুই, বাড়ি চান্দা মোড়, পশ্চিম বর্ধমান, বিশ্বজিৎ রায়, বাড়ি জামালপুরের কালুপুকুর গ্রামে, শঙ্কর তালুকদার, বাড়ি জৌগ্রামের বাদপুর ও সুশান্ত তালুকদার, তারও বাড়ি জৌগ্রামের বাদপুর।

জেলার অতিরিক্ত বন বিভাগীয় আধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘ বেশ কিছুদিন ধরেই হরিণের শিং পাচারের একটি গ্যাং কে ধরার জন্য চেষ্টা চলছিল। এরই মধ্যে ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো ( ইস্টার্ন রিজিয়ন) এর আধিকারিকদের কাছে এই পাচারকারীদের সম্পর্কে নির্দিষ্ট খবর পৌঁছায়। তারই তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার জামালপুর থানার কুলীনগ্রামে অভিযানে নাম হয়।

ক্রেতা সেজে পাচারকারীদের ফোন করে একটি জায়গায় আসতে বলা হয়। এরপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিং পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পূর্ণ বয়স্ক সাম্বার প্রজাতির হরিণের ২০টি শিং। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি মোটর সাইকেল। এই গ্যাংয়ের সঙ্গে আরো কারা যুক্ত আছে, কোথায় এই শিং গুলো পাচার করার পরিকল্পনা ছিল এবং অতীতে অন্য কোন অপরাধ এর সঙ্গে ধৃত ব্যক্তিরা জড়িত ছিল কিনা ইত্যাদি জানতে ধৃতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন ১৯৭২ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হবে।

আরো পড়ুন