ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে এক শিশুর মৃত্যু কে কেন্দ্র করে ফের চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে মৃত শিশুর বাবা এই ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার সহ বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। পাশাপাশি শুক্রবার শিশুটির দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিশু মৃত্যুর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
বর্ধমান শহরের ভাতছালা পীরতলার বাসিন্দা সত্যজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্ত্রী পিঙ্কি বাগ গত ২০ জানুয়ারি এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। সদ্যজাত শিশুটির ওজন কম থাকা সহ নানা সমস্যা শুরু হয়। সেই কারণে শিশুটিকে বর্ধমান মেডিক্যালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বুধবার শিশুটি মারা যান। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতির কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
সত্যজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘মেয়ে যখন ভর্তি হয় তখন শরীরে কোন ক্ষত চিহ্ন ছিল না। কিন্তু মৃত্যুর পর দেহ হাতে নিয়ে তাঁরা দেখেন শিশুটির কপালে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এছাড়াও পেটেও নীলাভ দাগ ছিল। কিভাবে এই দাগ হল? প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর অনুমান, ভর্তি থাকা অবস্থায় শিশুটি হয়ত পড়ে যায়। সেই কারণেই এই ঘটনা।
বুধবার ঘটনার পর শিশুটির পরিবার দেহ গ্রহণ করে নি। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান থানা এবং বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন শিশুটির বাবা। সেখানে চিকিৎসায় গাফিলতির কথা উল্লেখ করা হয়। শুক্রবার মৃত শিশুটির দেহের ময়নাতদন্ত হয় মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ মর্গে।
উলেক্ষ্য, গত বছর অক্টোবর মাসেও এখানে শিশু মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। ফের বছরের শুরুতেই একই অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, অভিযোগ এলে সেই বিষয়ে তদন্ত কমিটি গড়ে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হয়। যদিও সাম্প্রতিক ঘটনা প্রসঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তভ নায়েক বলেন, ‘শিশুটির ওজন খুব কম ছিল। ওকে বাঁচানটা চ্যালেঞ্জের ছিল। কিন্তু বাঁচান গেল না। রোগীর পরিজনদের অভিযোগ সঠিক নয়। তাঁর দাবি, মুখের দাগ অক্সিজেন মাস্কের এবং পেটের দাগও চিকিৎসা জনিত কারণেই হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই সব পরিষ্কার হবে।’