ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমানবাসীর জন্য ফের আনন্দ সংবাদ। এক বছর চার মাসের মাথায় ফের সন্তানের জন্ম দিল কালি। রাখি পূর্ণিমার পূণ্য লগ্নে গত ১১আগস্ট বর্ধমান রমনা বাগানে ধ্রুব ও কালির দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হল। যদিও এই পাঁচ দিনে মা চিতাবাঘ কালির ধারে কাছে কেউ ঘেঁষতে পারেননি। এমনকি খুব প্রয়োজন ছাড়া এনক্লোজারের ভিতর ঘরের বাইরে বেরোতেও সেভাবে দেখা যায়নি কালি কে।রমনা বাগান জুলোজিক্যাল পার্ক কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা গেছে, খাবার দেওয়ার সময়টুকু ছাড়া এই মুহূর্তে কারুর এনক্লোজারের সামনে যাওয়া সম্পূর্ন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২৪ঘণ্টার জন্য একজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
জেলা বন বিভাগীয় মুখ্য বনাধিকারীক নিশা গোস্বামী বলেন,” রমনাবাগান মিনি জু তে চিতা বাঘের একটি বাচ্চা হয়েছে। গত বছর এপ্রিল মাসেও এর আগে একটি বাচ্চার জন্ম দিয়েছিল কালি। এটা ভাল খবর। আমরা মা ও বাচ্চার দিকে সর্বক্ষণ নজর রাখার ব্যবস্থা নিয়েছি। পাশাপাশি পুরুষ চিতা ধ্রুব কে আলাদা এনক্লোজারে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী কিছুদিন বিশেষ সতর্কতা নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিতা বাঘের বাচ্চা হলেও সেটি ছেলে না মেয়ে এখনই বলা সম্ভব নয়। এর প্রধান কারণ মা চিতার কাছে এখন কারুর পক্ষেই যাওয়া সম্ভব নয়। বাচ্চা কে আঁকড়ে মা বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছে। বাইরেও খুব কম বেরোচ্ছে। কমপক্ষে মাস খানেক শাবকের বয়স না হলে কিছুই বোঝা যাবে না। যদিও কালির এর আগের শাবকের বয়স প্রায় দেড় বছর হতে চললেও কিছুদিন আগে পর্যন্তও বন দপ্তরের কর্মীরা সেই শাবক ছেলে না মেয়ে জানতে পারেননি। সেই কারণে সরকারিভাবে এখনও কালির প্রথম সন্তানের নামকরণ করা যায়নি। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বন দপ্তরের পশু চিকিৎসক ও কর্মীদের একাংশ জানতে পেরেছেন প্রথম বাচ্চাটি পুরুষ। স্বাভাবিকভাবেই এরপর থেকে রমনা বাগান জুড়ে ছড়িয়েছে খুশির হাওয়া। আর এরই মাঝে রাখি পূর্ণিমার দিন ফের ধ্রুব আর কালির দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হওয়ায় গোটা রমনা বাগান জুড়ে ব্যস্ততা তুঙ্গে।
নিশা গোস্বামী বলেন, ‘ খুব শীঘ্রই ধ্রুব কালির প্রথম সন্তানের নামকরণ করা হবে। সেব্যাপারে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি চিতা বাঘের জন্য যে এনক্লোজারের এরিয়া আছে তারও সীমানা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতদিন বর্ধমান রমনা বাগান জুওলজিক্যাল পার্কের মুখ্য আকর্ষণ ছিল কালি ও ধ্রুব। এখন এই সংখ্যা বেড়েছে। চিতার পরিবারে এখন আরো দুজন সদস্য বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এদের বিচরন ক্ষেত্রও বাড়াতে হচ্ছে। এছাড়াও এই বছরের মধ্যে রমনা বাগানের আকর্ষণ বাড়াতে আরো কিছু পশু পক্ষী নিয়ে আসার বিষয়ে প্রক্রিয়া চলছে।”
ছবি – ফাইল