---Advertisement---

ওয়েব্রিজের আড়ালে বেআইনি বালির কারবার, গলসিতে পুলিশ ও প্রশাসনের অভিযান, বন্ধ তিনটি কাঁটা

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, গলসি: পূর্ব বর্ধমানের গলসি জুড়ে ওয়েব্রিজের আড়ালে বেআইনি বালি কারবারের খবর ফোকাস বেঙ্গল প্রকাশ করার পরই রীতিমত নড়েচড়ে বসলো পুলিশ ও প্রশাসন। গলসি ১ ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার শিল্লা পারাজ রোডের ওপর একটি কাঁটা সহ করকোনায় একটি ও রায়পুর আর ঢোলা মোড়ের মাঝে রামগোপালপুরে একটি কাঁটা কে বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাঁটা গুলোতে বেআইনি ভাবে বালি মজুদ করে বিক্রি করার অভিযোগ ছিলো। ভূমি রাজস্ব আধিকারিক অভিযোগ খতিয়ে দেখে আপাতত তিনটি কাঁটা (ওয়েব্রিজ) কে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ভূমি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ওয়েব্রিজের আড়ালে বেআইনি বালির কারবার বন্ধে কঠোর হাতে মোকাবিলা করবে প্রশাসন। বাকি আরো যে সমস্ত ওয়েব্রিজ রয়েছে সেগুলোরও অনুমতি ও কার্যকলাপ সরজমিনে খতিয়ে দেখে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে শিল্লা–পারাজ রোডে কাঁটা গুলোতে প্রশাসনের নজরদারি শুরু হতেই গোহগ্রাম–গলসি রাস্তায় কাঁটা মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, গলসি থানার গোহগ্রাম পঞ্চায়েতের দামোদর নদ জুড়ে বেআইনি ভাবে চলছে দেদার বালি লুট। সন্ধ্যার পর থেকে পরের দিন ভোর পর্যন্ত রাতভর চলছে নদী থেকে ট্রাক্টরে করে বালি চুরি। কে, কতো তাড়াতাড়ি এক ট্রাক্টর বালি ফেলে দিয়ে এসে ফের আবার পরের ট্রিপ লোড করতে পারবে – তারই প্রতিযোগিতা চলছে প্রতিদিন। ফলে গ্রামের রাস্তা গুলোর অবস্থা দিনদিন যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। বেপরোয়া গতিতে ট্রাক্টরের যাতায়াতে যেকোনো সময় রীতিমত দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকছেন স্থানীয় একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনের নজর এড়িয়ে, লোকেশন কে হাতিয়ার করে রাতের অন্ধকারে শয়ে শয়ে ট্রাক্টর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোহগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তায়। পুলিশ ও প্রশাসন কে বারবার জানানো সত্ত্বেও বালি মাফিয়াদের দাপাদাপিতে লাগাম টানা যাচ্ছে না বলেই অভিযোগ। অভিযোগ, গলসি জুড়ে একাধিক বেআইনি ওয়েব্রিজ (কাঁটা) তৈরি করে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী নদী থেকে এই বালি চুরিতে মদত যোগাচ্ছে। নদী থেকে ট্রাক্টরে করে বালি তুলে এনে কাঁটায় মজুদ করছে। পরে সেই বালি রাতারাতি লরি ও ডাম্পারে লোড করিয়ে পাচার করে দিচ্ছে। ফলে প্রশাসনের অজান্তেই লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারি রাজস্ব লুট হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ও পাত্রসায়র থানার অন্তর্গত দামোদর নদের একাধিক মৌজা থেকে বালি চুরি চলছে। বাঁকুড়া জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের এব্যাপারে কোন হেলদোল নেই বলেই স্থানীয়দের অভিযোগ।

See also  বর্ধমান জজ কোর্টের সরকারি আইনজীবির অপসারণের দাবিতে সরব আইনজীবিরাই, অচলাবস্থা

আরো অভিযোগ, বৈধ বালি খাদান থেকে একবার ই–চালান কেটে বালি লোড করে তাড়াতাড়ি সেই বালি নিকটবর্তী কোনো জায়গায় খালি করে দিয়ে এসে কাঁটা গুলো থেকে ফের বালি লোড করে ওই একই চালান ব্যবহার করে বেরিয়ে যাচ্ছে। কার্যত প্রশাসন কে বোকা বানিয়ে এক শ্রেনীর বালি মাফিয়ারা প্রতিদিন সরকারের লক্ষাধিক টাকার রাজস্ব লুট করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এই কারবার চালাচ্ছে মূলত অবৈধ ওয়েব্রিজ মালিকরাই বলে অভিযোগ। এরফলে একদিকে যেমন স্থানীয় রাস্তাঘাটের অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে, তেমনই দুর্ঘটনার আশঙ্কাও দিনদিন বেড়েই চলেছে এলাকায়। আর এরই মধ্যে ভূমি রাজস্ব দপ্তর ও পুলিশ বেআইনি কাঁটা গুলোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করায় বর্ষার আগে আশার আলো দেখছেন এলাকাবাসীরা।

শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---