---Advertisement---

জামালপুরে নদীতে ড্রেজিংয়ের অনুমতি নিয়ে বালি তুলে দেদার পাচার, উদাসীন প্রশাসন

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, জামালপুর: ১৯নম্বর জাতীয় সড়ক তৈরির কাজের জন্য নদী থেকে বালি তোলার অনুমতি (dredging) নিয়ে সেই বালি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে অন্যত্র বলে অভিযোগ। জামালপুর থানার অধীনে দামোদর নদে জ্যোতশ্রীরাম পঞ্চায়েতের মুইদিপুর মৌজা থেকে তোলা হচ্ছে বালি। কিছুদিন আগে এই বালি তোলা হচ্ছিল চকদীঘি পঞ্চায়েতের সোনারগড়িয়া এলাকা থেকে। নদীর যে অংশ থেকে বালি তোলা হচ্ছে সেখানে মুণ্ডেশ্বরী ও দামোদর ভাগ হয়ে দুদিকে প্রবাহিত হচ্ছে। অভিযোগ, অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বালি তোলার ফলে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে নদীর গতিপথ।

বিজ্ঞাপন

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কিছুদিন আগে বালি ঘাটের ইজারাদাররা বারোয়ারীতলা হয়ে ট্রাক্টরের মাধ্যমে বালি সাপ্লাই করছিল। কিন্তু দু তিনদিন ধরে ১০চাকা, ১২চাকার ডাম্পারে করে বালি নিয়ে মুইদিপুর গ্রামের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে। ফলে ব্যাপক আশঙ্কা তৈরি হয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। কারণ পঞ্চায়েতের যে রাস্তা দিয়ে ভারী ও বড় গাড়িগুলো যাতায়াত করছে সেই রাস্তায় প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। রয়েছে অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্র, বাজার, দোকানপাট। এছাড়াও গ্রামের রাস্তা ব্যবহারের ফলে রাস্তা ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। তাদের অনেকের আরো অভিযোগ, নদীর চরে চাষযোগ্য জায়গা থেকেও বালি কেটে নেওয়া হচ্ছে। তবু কোন ভ্রুক্ষেপ নেই স্থানীয় পঞ্চায়েতের।

ইতিমধ্যেই গ্রামের ভিতর দিয়ে বালির গাড়ি যাতায়াত বন্ধ করার বিষয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু তারপরেও ইজারাদারের কোন হেলদোল নেই। স্বাভাবিকভাবেই এলাকার মানুষ যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রয়েছেন। অভিযোগ, পঞ্চায়েতের রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এমনকি খোদ মুখ্যমন্ত্রী গ্রামের রাস্তা ব্যবহার করে বালির গাড়ি যাতায়াত বন্ধের জন্য প্রশাসনকে কড়া হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও প্রভাবশালী কিছু বালি ব্যবসায়ী শাসকদলের একাংশ ও প্রশাসনের একাংশের সঙ্গে সমঝোতা করে বেআইনিভাবে সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে বলে গ্রামবাসীদের অনেকেই মনে করছেন।

See also  মাকে খুন করে ঘরের মেঝেতে পুঁতে দিয়েছিল ছোট ছেলে, দুবছর পর ঘটনা প্রকাশ্যে, বর্ধমানে আটক ছোট ছেলে

জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ভূতনাথ মালিক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ’ পঞ্চায়েতের রাস্তা ব্যবহার করে ভারী বালির গাড়ি চলাচল করার অনুমতি নেই। তারপরেও কিভাবে যাচ্ছে খোঁজ নেওয়া হবে। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে সমস্যার বিষয় জানিয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিডিও এলাকা ঘুরে দেখেছেন। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে, জামালপুর ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিক প্রত্যুষ বাগ বলেন, ’ একটি কোম্পানি ওয়েস্ট বেঙ্গল এমডিটিসিএল থেকে নদীতে ড্রেজিং করার অনুমতি পেয়েছে বলে জানি। তারাই নদী থেকে বালি তুলছে। তবে পঞ্চায়েতের রাস্তা ব্যবহার করে বালির গাড়ি যাতায়াতের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। জাতীয় সড়কের কাজে বালির প্রয়োজনে একটি কোম্পানিকে নদীর নির্দিষ্ট এলাকা থেকে বালি তোলার অনুমতি দিয়েছে ডাব্লিউবিএমডিটিসিএল বলে শুনেছি।’

শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---