---Advertisement---

পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধারের পর শুধু ট্যাটুর উপর ভিত্তি করে তদন্তের নিষ্পত্তি, আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সহ ২০হাজার টাকা জরিমানার আদেশ বর্ধমান আদালতে

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, পূর্ব বর্ধমান: মাত্র ১২ ঘন্টার মধ্যে অজ্ঞাত পরিচয় মৃত ব্যক্তির পচাগলা দেহ সনাক্তকরণ করে ও আসামীকে গ্রেফতার করা থেকে শুরু করে, নিষ্ঠা ও সুদক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আসামির শাস্তির বাস্তবায়ন সম্ভব হল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের তদন্তে। পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ৪ঠা অক্টোবর মাধবডিহি থানার অন্তর্গত নন্দনপুর ঢালের কাছে নয়নজুলিতে পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। খবর পাওয়া মাত্র মাধবডিহি থানার পুলিশ তৎকালীন ওসি দেবাশীষ নাগ এর নেতৃত্বে দেহটিকে উদ্ধার করে এবং এক পথচারির অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় মামলার তদন্ত। পচাগলা দেহটিতে একটা ট্যাটু ছাড়া আর কিছুই ছিলো না। এই মামলার তদন্তভার পরেছিল এস.আই ব্রজগোপাল হালদাররের উপর।

বিজ্ঞাপন

সামান্য শরীরে একটা ট্যাটুর উপর ভিত্তি করে মাত্র ১২ ঘন্টার মধ্যে মৃতদেহ সনাক্তকরণ ও আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে জানা যায়, ওই মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে বাপ্পাদিত্য নাম কোনো এক ব্যক্তির অবৈধ সম্পর্কের কথা। এর জেরে ওই ব্যাক্তিকে লুঙ্গি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে মেরে তিনদিন রাখার পর পচাগলা দেহটিকে নন্দনপুর ঢালের কাছে নয়নজুলিতে ফেলে দেওয়া হয়।

এস.আই ব্রজগোপাল হালদার তদন্তকারী অফিসার হিসাবে দক্ষতার সঙ্গে কেসটির তদন্ত করেন এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বর্ধমান আদালতে চার্জশিট পেশ করেন। মামলাটি এতদিন বর্ধমান আদালতে বিচারাধীন ছিল। আজ অর্থাৎ শুক্রবার বর্ধমান আদালতের বিচারক তাঁর চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন। আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। 

See also  বর্ধমানে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিষেকের আনা মামলার জবাব দিতে সময় চেয়ে নিলেন শুভেন্দুর আইনজীবী
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---