গলসির দামোদর তীর বরাবর ডলফিন বাঁচাতে সচেতনার প্রচার বন দপ্তরের

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গলসি: গলসি থানার দামোদরের শিল্লাঘাট এলাকায় যে শুশুক বা গাঙ্গেয় ডলফিনের দেখা পাওয়া গিয়েছিল, সেই ডলফিন বাঁচাতে মঙ্গলবার জেলা বনদপ্তরের পক্ষ থেকে নদের তীর বরাবর সচেতনার প্রচার চালানো হল। পূর্ব বর্ধমান বনবিভাগের পক্ষ থেকে গলসি, আদরাহাটি, শিল্লাঘাট থেকে কসবা পর্যন্ত এই বিশেষ প্রচার চালানো হয়। আচমকা দামোদরে চলে আসা বিলুপ্তপ্রায় এই জলজ প্রাণীটিকে যাতে কেউ বিরক্ত না করেন, তাকে যাতে সুরক্ষিত রাখা যায়, সে বিষয়ে বলার পাশাপাশি দামোদরে যে সমস্ত মৎসজীবিরা মাছ ধরতে যান তাদেরও সচেতন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মাইকের মাধ্যমে প্রচারে বনকর্মীরা এদিন এলাকার প্রত্যেককে সজাগ করেন যাতে কোনভাবে যদি জালে এই শুশুক বা গ্যাঞ্জেটিক ডলফিন জড়িয়ে যায় তার যেন কেউ ক্ষতি না করেন। দ্রুত বর্ধমান বিভাগীয় বনদপ্তর বা ফরেষ্টের নিকটবর্তী শাখায় খবর দেওয়া হয়, সে বিষয়েও জানানো হয়। বনদপ্তরের কর্মীরা এদিন টোটোয় মাইক নিয়ে দামোদরের পাড় ধরে এই প্রচারের কাজ করেন। সাধারণত এই এলাকায় বসবাসকারী মানুষরাই দামোদরে বেশী যান বিভিন্ন প্রয়োজনে। শিল্লাঘাট এলাকায় ডলফিন দেখতে পাবার খবরে এদিন সকাল থেকেই দামোদরের বিভিন্ন এলাকায় উৎসুক মানুষের ভিড় জমেছিল। কিন্তু এদিন আর দেখা মেলেনি এই জলজ প্রাণীটির।

শুকদেব মাঝি বলেন, ‘আজ সকাল থেকে বনদপ্তরের লোকেরা টোটোয় মাইক লাগিয়ে প্রচার করেছে। তবে এখন নদীতে অনেক জল। ফলে সহজে ধরা পড়বেনা। আর তাছাড়া এদিন ডলফিন টিকে নতুন করে কেউ দেখতেও পায়নি। তবে এলাকার লোকেরাও সতর্ক হয়েছে। কিছু দেখতে পেলে বনদপ্তরে খবর দেবে।’ অতিরিক্ত জেলা বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী বলেন, ‘ আমরা সকাল থেকেই দামোদরে যে এলাকায় শুশুক বা গ্যাঞ্জেটিক ডলফিন দেখতে পাওয়া গিয়েছিল সেই এলাকা ধরেই প্রচার চালিয়েছি। আমাদের কর্মীরা এলাকায় গিয়ে প্রচার মাইক নিয়ে সাধারণ মানুষ কে এবিষয়ে সচেতন করেছেন। শুশুক বা গ্যাঞ্জেটিক ডলফিনের দেখা পাওয়া যায় মুলত ভাগীরথী বা গঙ্গায়। এখানে কোনভাবে চলে এলেও আমাদের ধারণা এখন যে পরিমানে দামোদরে জল রয়েছে তাতে চলে যেতেও পারে। নদীতে জলের স্রোতও আছে। তবে অনেকেই এইসময় মাছ ধরার জন্য জাল ফেলেন নদীতে, কোন জালে ফেঁসে গেলে সেক্ষেত্রে আমাদের দ্রুত জানাতে বলা হয়েছে।’

আরো পড়ুন