আগুন নেভানোর কোন ব্যবস্থাই নেই পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ ভবনে, প্রশাসনিক উদাসীনতা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: কথাতেই আছে ‘আগুন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বিপদজনক, যেকোন সময় বিপদ ঘটতে পারে’, তবু সেই বাম অমল থেকে ‘আগুন’কেই গুরুত্ব না দিয়ে বহাল তবিয়তে প্রশাসন চালিয়ে আসছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি থেকে অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) রা। তাও আবার খোদ জেলা পরিষদ ভবনেই।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ ভবনের সভাধিপতি, সহ সভাধিপতি থেকে কর্মাধক্ষ্যদের ঘর কিংবা ভবনের কোনো তলেই অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থাই কার্যত নেই। এই চিত্র যে শুধু বর্তমান সরকারের আমলেই দেখা যাচ্ছে তা নয়, এই অবস্থা পূর্বের বাম আমলেও একই ছিল। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ ভবনে কোনোদিনই নাকি অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থাই ছিল না। আর এবার জেলা পরিষদ প্রশাসনের এই উদাসীনতা নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

খোদ জেলা পরিষদের কর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, এখানে কোনোদিন আগুন লাগার ঘটনা ঘটেনি, তবে যেদিন বিপদ ঘটবে তারপর ঠিক হুঁশ ফিরবে প্রশাসনের। জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার এই অবস্থার কথা জেনে কার্যত বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘সে কি বলছেন? আপনারা সব ঘুরে দেখেছেন? কোথাও নেই !’ এরপরেই তিনি বলেন, ‘যদি সত্যিই এই অবস্থা থেকে থাকে তাহলে আগামী সাত দিনের মধ্যে অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জাম বসানোর ব্যবস্থা নেব আমরা। সমস্ত কাজ বন্ধ রেখেও এটাকেই প্রথম গুরুত্ব দেওয়া হবে।’

তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের প্রতিষ্ঠার পরে প্রথম জেলা পরিষদের সভাপধিপতির দায়িত্বে ছিলেন দেবু টুডু। বর্তমানে তিনি জেলা পরিষদের মেন্টর পদে রয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সে কি! এটা হয়ে থাকলে তো খুবই বাজে বিষয়। জেলা পরিষদের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলাশাসকদের এ বিষয়টি অবশ্যই দেখা উচিত ছিল। বর্তমানে যিনি দায়িত্বে রয়েছেন তাঁর সঙ্গে কথা বলুন।’ সদ্য প্রাক্তন সভাধিপতি শম্পা ধারা বলেন, ‘অনেক কাজ করেছি আমরা। এই বিষয়টি সত্যিই আমাদের কারোর মাথায় আসেনি। তবে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, অবিলম্বে এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’ অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) কাজল রায় বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা তো কোনদিনই কেউ দেখেনি। আগামী অর্থের মিটিংয়ে এটা নিয়ে আলোচনা করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জরুরি ভিত্ততেই এই কাজটা করা প্রয়োজন।’

আরো পড়ুন