![](https://1.bp.blogspot.com/-yvt3b4P_uP4/X1O8a2NPfvI/AAAAAAAAQ4A/Jy4P_CYa92YIzCNWN9L9Gs5PgUrye2UkACLcBGAsYHQ/s640/IMG-20200904-WA0054_copy_720x749.jpg)
![](https://1.bp.blogspot.com/-V1Rqh52TB2o/X1O9GRTmk_I/AAAAAAAAQ4M/SbURbnHCDoYuqeUcpKS_IaajQiaB3aN7QCLcBGAsYHQ/s640/HB_Ads_Top_728X90_copy_720x89.jpg)
এম কৃষ্ণা,কলকাতা: ১৯৬৫ সালে মোহনবাগানের প্লাটিনাম জুবলির অনুষ্ঠানে তিনি মোহনবাগান ক্লাবের ক্রীড়াবিদ হিসাবে প্রথম সারিতে ছিলেন৷ ক্লাবকে ১৯৬১ থেকে ১৯৬৫ পরপর পাঁচ বছর রাজ্য ত্র্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়ন করতে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিলেন। তিনি চঞ্চল ভট্টাচার্য৷ আশি ছুঁই ছুঁই এই মানুষটাই আজ বয়সের ভারে অসুস্থ ৷ দক্ষিন কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোডের বাড়িতেই কাটছে এখন সময়।
ফুটবলার হিসাবে নিজের জাত চিনিয়ে ছিলেন ১৯৫৯ আশুতোষ কলেজের হয়ে ইলিয়াড শীল্ডে ৷ এরপর ১৯৬০-এ যোগ দেন কালীঘাট ক্লাবে৷ একই বছরে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ত্র্যাথলেটিক্স হিসাবে পাঞ্জাবের জলন্ধরে বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন৷ ন্যাশানাল গেমসে ১০০, ২০০ এবং ৪x১০০ মিটার রিলে রেসে ব্রোঞ্জ, রুপো এবং সোনা জেতেন৷ ১৯৬১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে আন্ত:রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় মিটে অংশ নেন এবং সে বছরই মোহনবাগান ক্লাবে ত্র্যাথলিট হিসাবে যোগ দেন। অল্পদিনেই হয়ে ওঠেন বাগানের ঘরের ছেলে৷
![](https://1.bp.blogspot.com/-EPT6EHs1D2U/X1O846-eXVI/AAAAAAAAQ4I/n1k2OrreM2AMzrh6fSzpJC_BoF4ODHm2ACLcBGAsYHQ/s640/IMG-20200904-WA0056_copy_720x532.jpg)
১৯৬৩ সালে চন্ডীগড়ে ন্যাশানাল গেমসে বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে ৪x১০০ মিটার রিলে রেসে রুপো পান৷ ১৯৬৫ মোহনবাগানের হয়ে প্লাটিনাম জুবলির অনুষ্ঠানে মোহনবাগান ক্লাবের অন্যতম মুখ ছিলেন চঞ্চল ভট্টাচার্য৷ একসময় বর্ধমানের কার্জেন গেট এলাকায় ভাড়া ভাড়িতে কাটিয়ে ছিলেন বেশ কয়েকটা বছর৷ খোলামেলা আলোচনায় অত্যন্ত আক্ষেপের সঙ্গেই চঞ্চলবাবু জানান, মোহনবাগানে থাকাকালিন পরপর পাঁচ বছর ক্লাবকে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন করেছেন।
অন্য অনেক ক্লাবে অফার পেলেও ক্লাব ছাড়ার কথা কোন দিন ভাবেননি৷ তবে জীবনের শেষলগ্নে এসে এই ক্রীড়াবিদের আক্ষেপ, ক্লাবকে বহু সন্মান এনে দিলেও ক্লাবের থেকে কখনও মেলেনি যোগ্য সন্মান৷ তবু পুরনো দিনের ছবি, ট্রফিগুলো আজও যেন তাকে মনে করায় তার ফেলা আসা সোনালী দিনগুলোর কথা। রসদ যোগায় নতুন করে বেঁচে থাকার লড়াই করার।