---Advertisement---

ক্লাবের কাছে যোগ্য সম্মান পাইনি – আক্ষেপ মোহনবাগানের প্রাক্তন তারকা ত্র্যাথলিট চঞ্চল ভট্টাচার্যের

Souris Dey

Published

এম কৃষ্ণা,কলকাতা: ১৯৬৫ সালে মোহনবাগানের প্লাটিনাম  জুবলির অনুষ্ঠানে তিনি মোহনবাগান ক্লাবের ক্রীড়াবিদ হিসাবে প্রথম সারিতে ছিলেন৷ ক্লাবকে ১৯৬১ থেকে ১৯৬৫ পরপর পাঁচ বছর রাজ্য ত্র্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়ন করতে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিলেন। তিনি চঞ্চল ভট্টাচার্য৷ আশি ছুঁই ছুঁই এই মানুষটাই আজ বয়সের ভারে অসুস্থ ৷ দক্ষিন কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোডের বাড়িতেই কাটছে এখন সময়। 
ফুটবলার হিসাবে নিজের জাত চিনিয়ে ছিলেন ১৯৫৯ আশুতোষ কলেজের হয়ে ইলিয়াড শীল্ডে ৷ এরপর ১৯৬০-এ যোগ দেন কালীঘাট ক্লাবে৷ একই বছরে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ত্র্যাথলেটিক্স হিসাবে পাঞ্জাবের জলন্ধরে বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন৷ ন্যাশানাল গেমসে ১০০, ২০০ এবং ৪x১০০  মিটার রিলে রেসে ব্রোঞ্জ, রুপো এবং সোনা জেতেন৷ ১৯৬১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে  আন্ত:রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় মিটে অংশ নেন এবং সে বছরই মোহনবাগান ক্লাবে ত্র্যাথলিট হিসাবে যোগ দেন। অল্পদিনেই হয়ে ওঠেন বাগানের ঘরের ছেলে৷ 
১৯৬৩ সালে  চন্ডীগড়ে ন্যাশানাল গেমসে বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে ৪x১০০ মিটার রিলে রেসে রুপো পান৷ ১৯৬৫ মোহনবাগানের হয়ে প্লাটিনাম জুবলির অনুষ্ঠানে  মোহনবাগান ক্লাবের অন্যতম মুখ ছিলেন চঞ্চল ভট্টাচার্য৷ একসময় বর্ধমানের কার্জেন গেট এলাকায় ভাড়া ভাড়িতে কাটিয়ে ছিলেন বেশ কয়েকটা বছর৷ খোলামেলা আলোচনায় অত্যন্ত আক্ষেপের সঙ্গেই চঞ্চলবাবু জানান, মোহনবাগানে থাকাকালিন পরপর  পাঁচ বছর ক্লাবকে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন করেছেন। 
অন্য অনেক ক্লাবে অফার পেলেও ক্লাব ছাড়ার কথা কোন দিন ভাবেননি৷ তবে জীবনের শেষলগ্নে এসে এই ক্রীড়াবিদের আক্ষেপ, ক্লাবকে বহু সন্মান এনে দিলেও ক্লাবের থেকে কখনও মেলেনি যোগ্য সন্মান৷ তবু পুরনো দিনের ছবি, ট্রফিগুলো আজও যেন তাকে মনে করায় তার ফেলা আসা সোনালী দিনগুলোর কথা। রসদ যোগায় নতুন করে বেঁচে থাকার লড়াই করার।
See also  ফুটবল জ্বরে কাঁপছে বিশ্ব, ক্ষুদেদের নিয়ে তৈরি ছবি বর্ধমান থেকে গেল ফিফায়
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---