কোনও তোলাবাজি চলবে না, কে কত বড় গুন্ডা আছে দেখে নেবো – বর্ধমানে টোটো প্রসঙ্গে হুঁশিয়ারি জেলা পুলিশ সুপারের

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমানে টোটোর বেলাগাম বাড়বৃদ্ধি আটকাতে পুরসভা, জেলা পুলিশ, প্রশাসন এমনকি খোদ বিধায়ক একের পর এক বৈঠক করে রীতিমত পরিকল্পনা সাজিয়ে তৈরি হয়েছে। টোটো ইউনিয়নগুলোর সঙ্গেও এব্যাপারে একাধিকবার আলোচনা করেছে প্রশাসন। উদেশ্য, যেমন করেই হোক শহরে টোটোর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে সাধারন মানুষের প্রতিদিনের হয়রানি বন্ধ করা। যানজট সমস্যা থেকে শহরবাসীকে মুক্তি দেওয়া। আর তারপরই বর্ধমান পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডে ক্যাম্প করে সমস্ত টোটোর মালিক কে তাদের কাগজ জমা দেবার জন্য বলা হয়েছিল। 

বিজ্ঞাপন
তারই ভিত্তিতে শনিবার শহরের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে প্রশাসন ও টোটো মালিকদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করা হয় পুরসভার পক্ষ থেকে। সেই সভা থেকে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস জানিয়ে দেন, শহরে ৪ হাজার ৪৯টির বেশি টোটো চলবে না। পঞ্চায়েত থেকেও কোনো টোটো শহরে প্রবেশ করবে না। জরুরি প্রয়োজনে ছাড়া। এমনকি টোটোর কাছ থেকে কেউ এক টাকাও দাবি করতে পারবে না, কোনো জায়গায়। যদি কেউ টোটো চলাচলের জন্য টাকা দাবি করে তাহলে সরাসরি তাকে জানতে পারবেন সেই টোটো চালক। 

আর এদিন বিধায়কের এই বক্তব্যের পরই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে এসে জেলা পুলিশ সুপার কমনাশিস সেন রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ” কোন তোলাবাজি বরদাস্ত করা হবে না। সেটা স্টেশন এলাকাই হোক বা তেলিপুকুর। আমি দেখতে চাইছি বর্ধমান শহরে কে কত বড় গুন্ডা আছে। স্টেশনের বাইরে কেউ মনে হয় তোলাবাজি করে। এক পয়সাও কাউকে দেবেন না। কিসের জন্য তোলাবাজি দেবেন?” 
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “স্টেশন বাজারই হোক বা তেলিপুকুর কোথাও তোলাবাজি চলবে না। এরপর কেউ তোলাবাজি করলে আমার অফিসে এসে সরাসরি আমাকে বলবেন।” প্রসঙ্গত রেল স্টেশন ও তেলিপুকুরে তৃণমূল নেতারা টোটো পিছু টাকা নেয় বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। আর এদিনের প্রকাশ্য সভায় জেলা পুলিশ সুপারের এই বক্তব্যের পরই শহর জুড়ে জোর আলোড়ন ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও।

আরো পড়ুন