দীর্ঘ প্রায় দশ মাস বন্ধ স্কুল কলেজ, বেকার ক্যান্টিন মালিক, কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চলেছেন

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: করোনার জেরে গোটা দেশ জুড়ে অর্থনৈতিক নাভিশ্বাস ওঠার পর যখন সমস্ত জরুরি পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে তখনও স্কুল কলেজের পঠন পাঠন স্বাভাবিক না হওয়ায় এবার চরম আর্থিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রায় সমস্ত স্কুল, কলেজের ক্যাণ্টিন কর্মীরা। স্বাভাবিক পঠন পাঠন চালু না হওয়ায় দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস ধরে বন্ধ এই সমস্ত ক্যাণ্টিনগুলি। কমবেশি প্রতিটি ক্যাণ্টিনেই ৮ -১০জন করে কর্মী কাজ করতেন। ক্যাণ্টিনগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরাও দীর্ঘ এই কয়েকমাস ধরে অর্থাভাবে ভুগছেন। এরই মাঝে রীতিমত সংকটের মুখে পড়েছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউ আই টির ক্যাণ্টিন কর্মীরা। কলেজের হোস্টেল গুলিতে ছাত্র ছাত্রীরা না থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই এখানের ক্যান্টিন গুলি বন্ধ। 

বিজ্ঞাপন
অভিযোগ, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক হওয়ায় তাদের নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যাথাও নেই। ইউআইটির গার্লস হোষ্টেলের দায়িত্বে থাকা ক্যাণ্টিন মালিক নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় কয়েক হাজার মানুষের সম্পূর্ণ পরিবারের ব্যয়ভার নির্ভর করত এই ক্যান্টিনগুলোর উপর। শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী সহ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রহরী বা অন্যান্য কর্মী সকলেই মাস পোহালে বেতন পেয়ে যাচ্ছেন। তিনি রীতিমত আক্ষেপের সুরেই জানিয়েছেন, ক্যান্টিনের মালিক বা কর্মচারীদের প্রতি কেউ নজর দেননি। এমনকি তাঁদের স্বাধীনভাবে ব্যবসা করার অনুমতিও নেই। কলেজের ইন-ক্যাম্পাস ক্যান্টিন। কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী ছাড়া বহিরাগত কারোর প্রবেশের অনুমতি যখন নেই, কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত মূল্যে যখন তাদের খাবার পরিবেশন করতে হয় তখন সে দিকে কর্তৃপক্ষ কেন নজর দেবে না? 
শুধু নুরুলবাবুই নন ইউআইটিতে রয়েছে মোট ৫টি ক্যাণ্টিন। যার অপর একটি ক্যাণ্টিনের মালিক সেখ রিকিও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বর্ধমান জেলায় প্রায় সমস্ত কলেজের সঙ্গেই রয়েছে ছাত্র বা ছাত্রী আবাস। প্রতিটি আবাসেও রয়েছে ক্যাণ্টিন। সবমিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষের রুটি রুজির প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে এই ক্যাণ্টিনগুলিতে। কিন্তু এখনও রাজ্য সরকারের উচ্চ শিক্ষা দপ্তর স্কুল কলেজ খোলার ছাড়পত্র না দেওয়ায় এই ক্যাণ্টিনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এমনকি তাঁরা অন্য কোনো কাজেও নিজেদের যুক্ত করতে পারছেন না। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের সংসার চালাতে ঋণের বোঝা বাড়ছে।
নুরুলবাবু জানিয়েছেন, তাঁর ক্যাণ্টিনেই দিনে ও রাত্রে ১২০টি করে মিলের অর্ডার থাকত। করোনা ইস্যুতে সবই বন্ধ। তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে তাঁরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চলেছেন। যাতে দ্রুত তাঁদের বিষয়ে একটা তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

আরো পড়ুন