নদীয়ার চাকদহের গৃহবধু উদ্ধার বর্ধমানের টলিউড অভিনেতার বাড়ি থেকে, চাঞ্চল্য

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: মঙ্গলবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে নদীয়ার চাকদহের এক গৃহবধূকে বর্ধমান শহরের বাদমতলার বাসিন্দা টলিউডের এক অভিনেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে গেল নদীয়া জেলা পুলিশ। উদ্ধার হওয়া বধূর নাম পম্পা ঘোষ। তাঁর বাড়ি নদীয়ার চাকদহে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বর্ধমান শহরের বাদামতলা এলাকায় টলিউডের অভিনেতা ফাল্গুনী ব্যানার্জ্জীর প্রায় ভগ্নবাড়ি থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় শহর জুড়ে। 

বিজ্ঞাপন
মহিলার স্বামী অর্ধেন্দু ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী বেশ কিছুদিন ধরেই বাতের ব্যাথায় গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। মানসিকভাবে ভেঙেও পড়েছিলেন। এরপর গত প্রায় মাস ছয়েক আগে তিনি নিঁখোজ হয়ে যান। তার আর কোনো খোঁজ মেলেনি। বাড়িতে তাঁর একটি চিঠি পাওয়া যায়। এরপর তাঁকে হন্যে হয়ে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজলেও কোনো হদিস মেলেনি। হঠাতই সোমবার তাঁর স্ত্রী অন্য এক মহিলার (বাড়ির কাজের লোক) ফোন থেকে গোপনে তাকে ফোন করে জানান, তাঁকে দুজন লোক তুলে এনে বর্ধমানে ওই অভিনেতার বাড়িতে আটকে রেখেছে। 
এমনকি তিনি জানান, এখানে কিছু সন্দেহজনক লোকও থাকে। তাঁদের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র থাকে। তাদের আচরণে তার সন্দেহ হয়। তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হতে পারে বলেও তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাঁর কিডনি পাচার করার মত কথাও নাকি অপহরণকারীরা আলোচনা করেছেন বলে পম্পাদেবী তাঁর স্বামীকে জানান। এমনকি পম্পাদেবী জানান, বাড়ি ফাঁকা থাকায় তিনি সুযোগ বুঝে এই ফোন করেন। এরপরই অর্ধেন্দুবাবু চাকদহ থানার পুলিশের কাছে গোটা ঘটনা জানান। 
এরপরই মঙ্গলবার ভোর রাতে চাকদহ এবং বর্ধমান থানার পুলিশ যৌথভাবে মহিলার সন্ধানে নামে। বর্ধমান ও চাকদহ থানার পুলিশ ও মহিলা পুলিশ গভীর রাতে বাদামতলায় তল্লাশি চালায়। পম্পাদেবীকে উদ্ধার করা হয়। যদিও অভিযুক্ত কাউকেই পাওয়া যায়নি। কিন্তু হঠাৎ করে এই অসুস্থ মহিলাকে তুলে এনে কেন অভিনেতার বাড়িতে আটকে রাখা হল তা নিয়ে রীতিমত ধন্দে পড়েছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে অভিনেতা ফাল্গুনি ব্যানার্জ্জী জানিয়েছেন, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এক দম্পতি মাস দুয়েকের জন্য আশ্রয় চাইতে আসেন। তিনি শুধুমাত্র তাঁদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। এর বাইরে তাঁর কিছু জানা নেই। যদিও প্রাথমিকভাবে ওই মহিলা পুলিশকে কোনো অভিযুক্তের নাম বলতে পারেন নি।

আরো পড়ুন