পূর্ব বর্ধমানেও সোমবার থেকে শুরু হল কচিকাঁচাদের জন্য পাড়ায় শিক্ষালয়

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বড়দের স্কুল খুললেও ছোটোরা বঞ্চিত হচ্ছিল স্কুলের পরিবেশে পড়াশোনা থেকে। আর সেই ভাবনা থেকেই আজ অর্থাৎ সোমবার থেকেই গোটা রাজ্য জুড়ে রাজ্য সরকারের নির্দেশে শুরু হয়ে গেল পাড়ায় শিক্ষালয়। মূলত প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়ারা দীর্ঘ সময়ের পর ফের স্কুল মুখো হওয়ার সুযোগ পেলো। স্বাভাবিকভাবেই নতুন সহপাঠী বন্ধুদের সান্নিধ্যে এসে আনন্দে উদ্বেল কচিকাঁচারা। তবে করোনা ভ্রুকুটি এখনও শেষ না হওয়ায় সরকার কিছুটা বিধিনিষেধ বজায় রেখেই ক্লাস রুমের বাইরে খোলা আকাশের নিচেই কচিকাঁচাদের স্কুলের স্বাদ দিতে চালু করে দিলো পাঠশালা। খুশি অভিভাবক থেকে পড়ুয়াদের বৃহদাংশ। তবে অভিভাবকদের একাংশ নানান কারণে এই ব্যবস্থার বিরোধিতা করেছে এদিন।

বিজ্ঞাপন

গোটা রাজ্যের সাথেই পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও এদিন সমস্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে শুরু হয়েছে পাড়ায় শিক্ষালয়। কীভাবে হচ্ছে ক্লাস? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশ, ‘যে সমস্ত শিশুরা এখনও করোনা ডোজ নেয়নি, তাদের জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার জন্য। সেক্ষেত্রে তাঁদের জন্যই পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় করতে হবে। বৃষ্টির দিনে বন্ধ রাখতে হবে শিক্ষালয়। বড় জায়গায় পড়াশোনার ব্যবস্থা করতে হবে। না থাকলে গাছের তলায় বা ছাউনির নিচে পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় হবে। কিন্তু সেটা বৃষ্টির দিনে বন্ধ থাকবে। হঠাৎ ঝড় জলে বাজ পড়ে কেউ মারা গেল, সেটা যেন না হয়। সেটা শিক্ষকদের দেখে নিতে হবে।’ 

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এলাকা অনুযায়ী এই ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরস্বতী পুজোর পর আইসিডিএস সেন্টারগুলি পাড়ায় পাড়ায় এই স্কুল খুলতে শুরু করুক। আগে মিড ডে মিল বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল। পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় চালু হলে পড়ুয়ারা মিড ডে মিলটা পেয়ে যাবে স্কুল থেকেই।’ মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, “পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় একেবারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাধারায় প্রকৃতির মুক্তাঙ্গনে শিক্ষার অঙ্গ। অন্যদিকে শিক্ষকদেরও আগের মতো ৫-৬ ঘণ্টা স্কুলে ক্লাস করাতে হবে না। সেক্ষেত্রে এই ব্যবস্থায় ২ ঘণ্টা সময় স্কুলে থাকলেই হবে। পড়ুয়ারা আসবে, পড়বে, মিড ডে মিল খাবে, বাড়ি চলে যাবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষকদেরও খুব একটা সমস্যা হবে না। এমনকি শনিবার ছুটি থাকবে স্কুল। সার্বিকভাবে ছোটদের স্কুল মুখো করার প্রক্রিয়া চালু হওয়ায় খুশি সকলেই।

আরো পড়ুন