ফের বিতর্কে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের সাংসদ, ৩৫জন প্রার্থীই নেই, বর্ধমানের সব আসন জেতার দাবি সাংসদের

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: ফের ভোট, ফের বিতর্কে সাংসদ। এবারও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে সেই বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাংসদ কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে বর্ধমান শহরে পোস্টার পড়েছিল। তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। আর এবার আসন্ন পুরভোটে বর্ধমানের ৩৫টা ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী দিতে না পারলেও সাংসদ মঙ্গলবার দাবি করলেন বিজেপি ৩৫টা ওয়ার্ডেই জিতবে। আর খোদ সাংসদের এই মন্তব্য ঘিরেই তৈরি হয়েছে ঘোর বিতর্ক। 

বিজ্ঞাপন

এদিন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের প্রশ্ন – সাংসদ কে সারা বছর কেন দেখতে পাওয়া যায় না এবং ভোট এলেই তিনি চলে আসেন। এই প্রশ্নের উত্তরে সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া বলেন, “আমি মিউনিসিপালিটি বা পঞ্চায়েতের প্রচারে নামি না। আমার একটা স্ট্র্যাটেজি পার্ট আছে। কোনও প্রার্থী কি বলেছে যে আলুওয়ালিয়াজি তাকে সমর্থন করছেন না! সবাইতো প্রচারে যায় না। এতো নেতা, কার্যকর্তা আছেন। স্টার ক্যাম্পেনার হিসেবে সবার নাম থাকেনা। আমি স্টার ক্যাম্পেনার নই। প্রত্যেক লোকেরই আলাদা স্ট্র্যাটেজি থাকে। কেউ অফিসে থেকে কাজ করে। কেউ ডিফারেন্ট ওয়ে অফ কমিউনিকেশনে কাজ করে। কেউ পদযাত্রা করে কাজ করে।” 

সাংসদ আরো বলেন, “আজ মিউনিসিপালিটি নির্বাচন, কাল পঞ্চায়েত নির্বাচন আছে। আমাকে যদি ঘুরতে হয় তো সমস্ত জায়গায় ঘুরতে হবে। আপনাদের এলাকায় তো মন্ত্রীরাও এসেছেন। প্রচার করছেন। তারা সবাই স্টার ক্যাম্পেনার। তাদের কাজই হচ্ছে ক্যাম্পেনিং করা।” তাহলে কি প্রার্থীরা নিজে নিজেই প্রচার করবেন? উত্তরে তিনি বলেন, কেন পার্টি তো করছে। নেতারা আসছে। প্রতিদিনই আসছেন। প্রচার করছেন। আপনি কি তাহলে আপনার সাংসদ এলাকায় বসে শুধু টুইটার হ্যান্ডেল করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি টুইটার, ফেসবুক করিনা। এসব ভুল ধারণা। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে কথা বলি। আমি প্রার্থীদের যা গুরুমন্ত্র দেওয়ার দেব।” 

এরপর সাংসদ কে প্রশ্ন করা হয়, বর্ধমান পুরসভায় আপনারা কটা সিট আশা করছেন? সাংসদ বলেন, “৩৫টা সিটই আশা করছি।” এরপর সাংসদ কে জানিয়ে দেওয়া হয় বিজেপি বর্ধমানের ৩৫টি ওয়ার্ডে সব প্রার্থী দিতে পারেনি। একটি ওয়ার্ডে প্রার্থী নেই, এবং একটি ওয়ার্ডের প্রার্থী নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তাহলে কিভাবে আপনারা ৩৫টি আসনে জিতবেন? এই প্রশ্নের পরই কথা ঘোরান সাংসদ আহলুওয়ালিয়া। 

এদিকে সাংসদ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ” উনি তো পরিযায়ী পাখি। ভোট আসলেই ওনার দেখা পাওয়া যায়। বিধানসভা ভোটের আগে ওনাকে মাঝেমধ্যে দেখা যেত। তখন স্বার্থ ছিল। ভোট হয়ে গেছে, জিতে গেছেন, ওনার দায়িত্বও শেষ হয়ে গেছে। আবার ভোট এসেছে তাই একবার, দুবার দেখা যাবে। করোনার প্রকোপে যখন তার সংসদ এলাকার মানুষ খেতে পাচ্ছিলেন না। নানান সমস্যা নিয়ে ছোটাছুটি করছিলেন তখন তিনি দিল্লিতে বসেছিলেন। কিছুদিন আগে প্রবল বর্ষণে যখন শহরের নিচু এলাকায় বাড়িতে জল ঢুকে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছিলেন মানুষ, তখনও দেখতে পাওয়া যায়নি সাংসদ কে। এর আগেও বর্ধমান শহরে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে পোস্টার পড়েছিল। সুতরাং এই কেন্দ্রের বেশিরভাগ মানুষই আজ বুঝতে পারছেন কাকে ভোট দিয়ে তারা জিতিয়েছিলেন। 

আরো পড়ুন