মরসুমের প্রথম কালবৈশাখীর বৃষ্টিতে বর্ধমানে স্বস্তি, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে নাকাল

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: শুক্রবার সন্ধ্যায় মরসুমের প্রথম কালবৈশখীর বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরল বর্ধমান শহরের জনজীবনে। স্বস্তি ফিরলেও প্রবল ঝর ও বৃষ্টির জেরে নাজেহাল হতে হল শহরের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় কাটাতে হল শহরের বহু এলাকার গৃহস্থদের। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে রাত সাড়ে ১১টার মধ্যেই প্রায় ৯০শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দেয় বিদ্যুৎ কর্মীরা বলে বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানানো হয়। বিদ্যুৎ দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এদিন ঝর ও বৃষ্টির পরে শহরের প্রায় অর্ধেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

 এর মূল কারণ হিসেবে বিদ্যুৎ দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় এবং ক্রমাগত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে থাকায় ফিডার ও ট্রান্সফরমার গুলো রীতিমত গরম হয়েছিল। এদিন মরসুমের প্রথম বৃষ্টি শুরু হতেই তেতে থাকা এইসব যন্ত্রাংশ গুলোতে জল পেয়ে আচমকাই ঠান্ডা হতে শুরু করে। আর এর ফলেই নেমে আসে বিপর্যয়। বসে যায় ১১হাজার কিলো ভোল্টের ফিডার। শহরের মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি সাব স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শহরের অধিকাংশ এলাকাই অন্ধকারে ডুবে যায়। 

এরই পাশপাশি বেশ কিছু জায়গায় গাছ ও গাছের ডাল ঝড়ে বিদ্যুতের তারে ভেঙে পড়ে। কয়েক জায়গায় ওভার হেডের তার ছিঁড়ে যায়। এছাড়াও উল্লাস মোড়ের কাছে জিটি রোডের উপর বর্ধমান পৌরসভার নির্মিত শহরে প্রবেশের জন্য লোহার স্বাগতম গেট গোটা রাস্তা জুড়ে ভেঙে পড়ে। বড়সড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও এই রাস্তা দিয়ে সাময়িক যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। পরে গ্যাস কাটার দিয়ে গেটটি কে কেটে ক্রেনে করে সরিয়ে রাস্তা স্বাভাবিক করে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল দমকল, বর্ধমান থানার পুলিশ, বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। সবমিলিয়ে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর স্বস্তির বৃষ্টি তে শহরবাসীর প্রাণ জুড়ালেও দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে রীতিমত নাকাল হতে হল বর্ধমানবাসীদের একাংশকে।

আরো পড়ুন