স্নাতক স্তরের ভর্তির ফি মুকুব করেছে রাজ্য সরকার, জমা দেওয়া ফি ফেরতের দাবিতে সোচ্চার এসএফআই

Souris  Dey

Souris Dey

বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: রাজ্য শিক্ষা দপ্তর ১৪ আগষ্ট স্নাতক স্তরের নতুন শিক্ষাবর্ষের ফর্ম ফিলাপের অর্থ মুকুব করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু কিছু কলেজে ১০ – ১৩ আগষ্ট পর্যন্ত যে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী ফর্ম ফিলাপের টাকা জমা দিয়েছেন, সেই টাকা এবার ফেরতের দাবী তুলল এস এফ আই। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলা এস এফ আই-এর সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরী সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, এদিনই এব্যাপারে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং জেলাশাসককের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা।
অনির্বাণ জানিয়েছেন, গত ১৪ আগষ্ট রাজ্য শিক্ষাদপ্তর করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে ভর্তি ফি মুকুব করার নির্দেশিকা জারী করেন। কিন্তু তার আগেই ১০ আগষ্ট থেকে কলেজে কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। ফলে ১০ থেকে ১৩ আগষ্ট পর্যন্ত যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি ফি দিয়েছেন তাঁদের সেই টাকা কিভাবে তাঁরা ফেরত পাবেন বা আদৌ ফেরত পাবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। অনির্বাণ দাবী করেছেন, চলতি করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীরা চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছেন। বহু ছাত্রছাত্রীই কলেজে ভর্তির জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার ফি মুকুবের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তা ছাত্রছাত্রীদের প্রভূত উপকার হয়েছে।
কিন্তু বিজ্ঞপ্তির আগে যাঁরা ফি দিয়েছেন তাঁরা পড়েছেন সমস্যায়। তিনি দাবী করেছেন, ১০ -১৩ আগষ্টের মাঝেই বিভিন্ন কলেজে কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী ভর্তি ফি দিয়েছেন। তাই তাঁরা দাবী জানাচ্ছেন, ছাত্রছাত্রীদের ওই টাকা ফেরত দেওয়া হোক। একইসঙ্গে এদিন জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে এসএফআই জানিয়েছে, জেলার বিভিন্ন স্কুলে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ফি-র পরিবর্তে কোনো বিল ছাড়াই মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে উপযুক্ত তদন্তেরও দাবী জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি চলতি করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রাথমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করারও আবেদন জানানো হয়েছে। কারণ গত মার্চ মাস থেকেই ছাত্রছাত্রীরা স্কুল যেতে পারেনি। ফলে তাদের শিক্ষাঙ্গনে যুক্ত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এদিন অনির্বাণ জানিয়েছেন, তাঁরা আশংকা প্রকাশ করছেন স্নাতক স্তরের ফর্ম ফিলাপের পর ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হলেই স্বজনপোষণ এবং মেধার পরিবর্তে টাকার বিনিময়ে ভর্তির খেলা শুরু হবে। তাই তাঁরা এব্যাপারে স্বচ্ছতা দাবী করছেন। এরই পাশাপাশি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ ১১ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও স্নাতক স্তরের প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম সেমিষ্টারের ফলাফল প্রকাশ করতে পারেনি।
এমনকি করোনার জেরে ষষ্ঠ সেমিষ্টারের পরীক্ষা না হওয়ায় তার মূল্যায়ন কিভাবে হবে তা নিয়েও ঘোরতর দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। এদিন এই সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন এসএফআই-এর জেলা সভাপতি বিশ্বরূপ হাজরা, জেলা সদস্য প্রলয় কুণ্ডু প্রমুখরাও। অপরদিকে, এদিনই কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাতিলের দাবীতে অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটির বর্ধমান শাখার উদ্যোগে বর্ধমানের কার্জন গেটে শিক্ষা বাঁচাও দিবস কর্মসূচি পালিত হয়।

আরো পড়ুন