লোকডাউনে আটকে পরা ভিন রাজ্যের শিক্ষার্থীদের পাশে বিশিষ্ট সমাজসেবী

Souris  Dey

Souris Dey

বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গুসকরা: বিশ্বজুড়ে মহামারী নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে। আর এই প্রকোপ থেকে রেহাই পায়নি ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গও। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ২৫মার্চ থেকে দেশ জুরে জারি করা হয়েছে লকডাউন। পাশাপাশি এই রাজ্যেও জেলাওয়ারী সীমানা সিল করে দেওয়া হয়েছে যাতে জেলার বাইরে থেকে কেউ ঢুকতে না পারে বা জেলা থেকে বেরোতে না পারে। 
আর এই নিয়মে বেকায়দায় পড়েছে এই রাজ্যে পাঠরত ভিন রাজ্যের বহু ছাত্রছাত্রী। তাঁরা আটকে পড়েছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে কিম্বা হোস্টেলে। 
পূর্ব বর্ধমান জেলার অভিরামপুর, গোবিন্দপুর এবং সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অধীনে DDU-GKY প্রকল্পে পাঠরত ত্রিপুরা রাজ্যের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আটকে পড়েছে প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসেই। 
স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা, দৈনন্দিন পঠন পাঠন নিয়ে সমস্যা এবং সেই সঙ্গে থাকা খাওয়ার চিন্তা। আর এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে অভিভাবকের ন্যায় শিক্ষার্থীদের পাশে সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মলয় পিট। সেই সঙ্গে ত্রিপুরা সরকারের সহযোগিতায় এবং মলয় বাবুর আন্তরিক প্রচেষ্টায় ব্যবস্থা করা হয়েছে ই-লার্নিং প্রশিক্ষণের। পাশাপাশি, ছাত্রছাত্রীদের থাকা এবং খাওয়ার যাবতীয় সুবন্দোবস্তও করা হয়েছে কলেজ ক্যাম্পাসেই। মলয় বাবুর এই আন্তরিকতায় খুশি ছাত্রছাত্রীরা।
উল্লেখ্য, পড়াশুনার পাশাপাশি এই সময় কলেজের সুন্দর পরিবেশে ছাত্রছাত্রীরা বাগান পরিচর্যা থেকে শাক সবজি চাষ ও নিজেদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় মনোনিবেশ করেছে।
মলয় বাবু জানিয়েছেন, প্রথাগত পঠন-পাঠন এই মুহূর্তে সরকারি নিয়ম মেনে বন্ধ। তবু ছাত্রছাত্রী দের পঠন পাঠনে যাতে কোনোরকম বিঘ্ন না ঘটে, তার জন্য ই-লার্নিং এর মাধ্যমে তাদের অসমাপ্ত কোর্সগুলি সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু ই-লার্নিংই নয়, এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, থাকা এবং খাওয়ারও সুব্যবস্থা করা হয়ছে। একই সাথে ভিন রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক দের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মলয় বাবু।

আরো পড়ুন